Trailblazer Award | Taranga Banerjee |
Dreamspinner Award | None |
Mastercrafter Award | Ankur Chatterjee Susmita Sadhukhan Taslima Parvin |
Budding Weaver Award (only for 15-17 yrs and Newcomers) | Joyee Chakraborty |
Trailblazer Award
“Oleek” byTaranga Banerjee using Catchphrase “Illusion of reality/ আতশ কাঁচের দেওয়াল.”
“গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে ছোট্ট পরিসরে এমন টানটান একটা লেখা প্রশংসার যোগ্য। মানসিক অসুখ যা এখন এক মাহামারীর আকার প্রায় নিচ্ছে। সেটিকে তুলে ধরা এক suspense thriller এর মধ্যে দিয়ে সেটি প্রশংসার। পরিবেশন স্মার্ট।শেষ পর্যন্ত আকর্ষণ বজায় থাকে। ভবিষ্যতে লেখকের কাছ থেকে আরো ভাল লেখার প্রত্যাশায় থাকব। বানানের ব্যাপরে আরেকটু যত্নবান হওয়া প্রয়োজন।”- JURY.
Mastercrafter Award
“আষাঢ়ে খুশ” by Ankur Chatterjee using No Catchphrase.
“মেলার একটা ভাল বর্ণনা আছে। মুহূর্তে শৈশবে নিয়ে যায়।পড়তে মন্দ লাগে না। সহজ জীবনের আনন্দের জলছবি মন ছুঁয়ে যায়। তবে নতুনত্ব তেমন নেই।
লেখনী ভালো। ভাষা ও বানানের বিষয়ে লেখককে আরো সচেতন হতে হবে। “– JURY.
“বৃষ্টি” by Susmita Sadhukhan using Catchphrase “Serenity in those eyes/তাকাই যদি চোখ একটি দীঘি হোক.”
“আবেগময় কবিতা।লেখার মধ্যে গতি আছে। সেজন্য পড়তে ভালো লাগে।। ছন্দে তালে কথায় মাঝে মাঝে যেন তাল কাটছিল।”– JURY.
“পরিবর্তন” by Taslima Parvin using No Catchphrase.
আমি ছিলাম ঝোপঝাড়, লতাপাতা, গাছপালা দিয়ে চতুর্দিক আবদ্ধ একটি স্বচ্ছ কাঁচের মতো পরিষ্কার জলের ভান্ডার। যার নাম মানুষ দিয়েছে পুকুর। হাওয়ার দোলায় আমার জলের ঢেউ আছড়ে পড়ত পুকুর পাড়ে আমার বন্ধু আম গাছের পায়ে। আমার বন্ধুর ডালপালা আমার অর্ধেক জলকে ছায়া করে রাখত। আমার বন্ধুর ডালে কত পাখি বাসা বাঁধতো এমনকি ওরাও আমাদের বন্ধু হয়ে গিয়েছিল।
আমার চারপাশে আরও সঙ্গী সাথী ছিল। তারা হল নারকেল গাছ, তালগাছ ,কলা গাছ আরো কত কি। আর আমি থাকতাম কত রকম মাছ, সরীসৃপ, উভচর প্রাণী এদের সঙ্গে। নারকেল গাছগুলি এতটাই নীচু ছিল যে তার পাতা গুলি আমায় ছুঁয়ে যেত। আমার রাগ হত, একটি দুষ্টু পানকৌড়ি ছিল যে কত মাছ ধরে খেত,তাই মাছেরা তাকে ভয় করত। একদিন সব মাছেরা আমার কাছে বিচার চাইলো। আমি বলেদিলাম পানকৌড়ি, তুমি আর এদের খাবে না। এই কথা শুনে পানকৌড়ি কতদিন আসেনি। কিন্তু আবার সে আগের মত কাজ করতে থাকল। একটি যে নীচু নারকেল গাছ ছিল একদিন দেখি হনুমানের একটি ছোট্ট বাচ্চা তাতে খুব দোল খাচ্ছে। হঠাৎ দেখি সে হুড়মুড় করে পড়লো জলে। সেকি কাণ্ড আমাকে ঘিরে আছে কত হনুমান আর তারা চেঁচাচ্ছে। তারপর কোনো রকমে বাচ্ছাটি উঠতে পারল। হঠাৎ একদিন রাত্রে শুনতে পেলাম কিছু মানুষ চোর চোর বলে চেঁচাচ্ছে। চোর গুলি পালাতে না পেরে একটি গাছের আড়ালে আশ্রয় নিল। তারা কি কি চুরি করেছে আর কিভাবে তারা প্রাণে বেঁচেছে সেগুলি বলাবলি করতে লাগলো। চোর গুলি হঠাৎ বাবা মা গো বলে দৌড় দিল কারণ গাছের পাশেই ছিল একটি শিয়ালের বাসস্থান। সে সেখানে সপরিবারে থাকতো। তারা হুক্কা হুয়া বলে ডাকতেই চোর গুলি পালালো।
এমনি করে আমরা আনন্দে ছিলাম। হঠাৎ একদিন শুনতে পেলাম মানুষের গুঞ্জন। শুনতে পেলাম কয়েকজন মানুষ নাকি আমার পাশেই বাড়ি করে থাকবে ।আমার কষ্ট হচ্ছিল । কিন্তু যখন শুনলাম বন্ধু আমগাছকেও কেটে ফেলবে তখন আমার কষ্টের সীমা থাকল না কারণ আমার বন্ধু তখন চারিদিকে আম নিয়ে সেজেছিল। তারপর একদিন আমার বন্ধুকে যখন একেবারে শিকড় থেকে শেষ করে দিল তখন আমি শুধু দেখেই গেলাম কিছু করতে পারলাম না। আমি একেবারে নড়াচড়া ছেড়েই দিয়েছিলাম। চারিদিক কুয়াশাই মোড়ার মধ্য দিয়েও আমি একটু আলো দেখতে পেলাম। দুটি বাচ্চা মেয়ে ও তাদের মা আমার সামনে এসে দাঁড়ালো। আমার জলে তারা এতটাই আনন্দ করল যে আমি দুঃখ ভুলে গেলাম। নতুনভাবে সবকিছু দেখতে শুরু করলাম। ওই বাড়িতে একদিন সানাই বেজে উঠলো নতুন বৌ বাড়িতে এলো। চারিদিকে শুধু আনন্দ। ধীরে ধীরে পরিবারে মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকল। চারিদিক থেকে যেন আমাকে কিছু গ্রাস করতে আসছে। আমি দেখলাম যত আবর্জনা আমার গর্ভে ফেলা হচ্ছে এবং আমি ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি। কেউ তো আর আমার কথা শুনতে পায় না। কেউ আর আমার জলে খেলা ও করতে আসে না। আর আমার জলকে কেউ ব্যবহারের জন্যও নিয়ে যায় না। অথচ কিছুদিন আগেই আমি ছিলাম সবার কাছে প্রিয়। আমাকে ছাড়া কারো কিছু কাজ হতোই না। কারোর বিয়ে হলে এক ডুবে জল নিয়ে গিয়ে সেই জল নতুন কনের মাথায় ঢালা হতো।রান্নার জন্য ও আমার জল মানুষ আনন্দের সঙ্গে নিয়ে যেত। এমনকি বাড়িতে নতুন বৌ আসলেও সে আসতো আমার জলেই স্নান করতে। কারণ আশেপাশে আমার মত আর কেউ ছিলই না। ধীরে ধীরে আমার আশেপাশে আরও বাড়ি হল ।আর বাড়ির সব দূষিত পদার্থ আমার কোলেই ফেলতে লাগলো। কিছু মানুষজন এর প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু সবাই তো আর সমান হয় না সেই একই কাজ করতে লাগলো। আমি ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছিলাম। কিন্তু মানুষ জন আমার প্রাণটাকে বাঁচিয়ে রাখল কারণ ওদের ময়লা স্তুপাকার করার জন্য জায়গা হল আমি। সেই কারণে আজ ও আমি চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় আছি যদি আমি প্রাণের সঙ্গে শরীরটাকে ফিরে পাই। দয়া করে কেউ যদি আমাকে সংস্কারের চেষ্টা করে।
মাঝে মাঝে মনে হয় হলো তো অনেক বছর,আর বেঁচে থেকে লাভ কি? আবারও ভাবি আমার কাছে আশ্রয় করে বেঁচে থাকে কত প্রাণী। আমার এই কথাগুলি বলার একটিই কারণ আমি তো একটি পুকুর কিন্তু মানুষজন চাইলে কি না করতে পারে। মানুষজন সমগ্র প্রাকৃতিক পরিবেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে না দিয়ে যেন বাঁচানোর চেষ্টা করে। না হলে শুধু আমাদের ক্ষতি নয় ক্ষতিটা সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের।
” বর্তমানে সারা পৃথিবী জুড়ে প্রকৃতি ধ্বংসের মহোৎসব চলছে। পরিবেশ নিয়ে বেশি বেশি লেখালেখি প্রয়োজন। বিষয় টা পরিচিত হলেও পুকুরকে personify করা এক নতুন ভাবনার প্রকাশ। লেখাটি ভাল। তবে লেখার বাঁধুনি ও শব্দচয়নে পরিমার্জনা প্রয়োজন। ভাষা ও বানানের দিকে নজর দিতে হবে I”– JURY.
Budding Weaver Award
“বিষন্নতা” by Joyee Chakraborty using Catchphrase “Past of future/ ভবিষ্যতের ভূত.”
“ভ্রমণবৃত্তান্ত হিসেবে মোটামুটি। লেখক ঐতিহাসিক স্থানের প্রতি তাঁর দুর্বলতার কথা বলেছেন, সে ক্ষেত্রে আরও তথ্যনির্ভর হওয়া উচিত ছিল। ইতিহাসের রন্ধ্রে রন্ধ্রে লুকিয়ে থাকা বিষণ্ণতার কথা তুলে ধরা ভাবনা হিসেবে বেশ ভালো I ধ্বংস বা অতীত বলতে ভূত কে বোঝানো হচ্ছে সেটা ব্র্যাকেটে না লিখে লেখনীর মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পেলে ভালো হত।”– JURY.